বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের মুসরাপাড়া ইয়াজপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। নিহতরা হলেন, রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা ছোটন (৪৫), গোদাগাড়ীর বড়গাছী কানুপাড়া গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে মেহের আলী (৬৫) ও তার বড় ভাই নাইমুল (৭০)। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে নাইমুল, মেহের ও সোহেলকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তিনজনের মধ্যে কে কোন পক্ষের তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইউনুস (২২), মোঃ আমু (২২), মোঃ রায়হান (৩৫), মোঃ মনিরুল (৪৫), মোঃ সোলেমান (৫০) ও রজব (৩১) বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তাদের শরীরে জখম ও লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসের আলী জানান, আহতদের সবাইকে তারা রামেক হাসপাতালে পাঠান।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, সকালে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে ১০ জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও বলেন, ইয়াজপুর বিলে সোহেল রানা ছোটনের ১৪ বিঘা জমি রয়েছে। মেহের আলী ও নাইমুল দুই ভাই জমিগুলো বরগা চাষ করে। ওই জমিগুলো বেশ কিছুদিন থেকে নিজের দাবি করে আসছে পাকড়ি গ্রামের আশিক আলী চাঁন। সকালে চাঁন তার দল-বল নিয়ে ওই জমি দখল করে চাষ করতে যায়। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
নিহত মেহের আলী ও নাইমুল আলীর ছোট ভাই আনসুর রহমান বলেন, আশিক আলী চাঁন জমিগুলো নিজের দাবি করে আসছিল। তিনি বিএমডিএতে চাকরি করেন। তিনি জমি দখল করার জন্য ভাড়াটে হিসেবে জালাল উদ্দিন ও তার দলবলকে নিয়ে যান। জালাল উদ্দিন পাকড়ি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও ওই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। জালাল উদ্দিন নিজে নেতৃত্ব দেয় এই হামলায়। তারা তিনজনকে ঘটনাস্থলে পিটিয়ে হত্যা করে। যারা উদ্ধার করতে যায় তাদেরও তারা পিটিয়ে জখম করে।